এই ফাজিল কই তুই।।। -কেন প্রাইভেটে।। -থাপ্পার মেরে দাঁত ফেলে দিব মিথ্যা বলার জায়গা পাইছস না।
আমিও তো প্রাইভেটে কই তুই। -ইয়ে মানে আমি ক্রিকেট খেলতে যাচ্ছি ৷
-যাও খোকা খেলতে যাও,আমি আন্টিকে ফোন দিয়ে বলতাছি যে আন্টি আপনার ছেলে প্রাইভেট বাদ দিয়া খেলতে যাচ্ছে।
-প্লিজ বলিস না দুস্ত তুই না আমার একমাত্র বউ।। -চুপ বেয়াদব।।ভাল চাস তাহলে প্রাইভেটে ৫মিনিটের ভিতর চলে আয়।। -আচ্ছা।।। .
এই মেয়েটা আমার জীবন তেজপাতা বানাইয়া দিল আজ আমার ক্রিকেটে ম্যাচ খেলার কথা ছিল এই মেয়েটা সেইটাও হতে দিল না।।
আম্মুকে আমি একটু বেশিই ভয় পাই বাট আব্বু আমার সেইরাম।।তাই এই মেয়েটা সব সময় আম্মুর ভয় দেখায়।।।
ওর সাথে পরিচয় ইন্টার 1st ইয়ার থেকে প্রথমে ভাবছিলাম সাদা-সিদা পরে যখন ওর সাথে মিশেছি তখন থেকেই বুঝলাম মেয়ে তো নয় যেন ডাইনি।।।
আর এই মেয়েটার প্রতি দিন দিন আমার ভালবাসাও বেড়ে গেল।
ফ্রেন্ড থাকা কালীন ভালই ছিল কিন্তু যেদিন আমি ওরে প্রপোজ করি সেই দিন থেকে ওর অত্যাচার বেড়ে গেছে।
আমি বললাম আই লাভ ইউ হেতি বলল ভেবে দেখব তারপর থেকে ঝুলে আছে।
আমিও নাছোড় বান্দা অবশেষে বল্ল যে আমার সব শর্ত মেনে চললে তাহলেই প্রপোজ এক্সেপ্ট হবে আর আমিও বোকার মত হ্যাঁ আমি রাজী বলে দিয়েছিলাম এর পর থেকেই আমার বাঁশ খাওয়া শুরু নিয়মিত ক্লাস করা,প্রাইভেট এ যাওয়া,নামাজ পড়া,সিগারেট কি ভূলিয়া গেছি।
প্রাইভেট পড়ার পর আমি আর কাজল রিকসা ভ্রমণে বের হইছি.. -কথা বলছ না ক্যারে?(আমি) -ভাবছি(কাজল) -কি?
-আচ্ছা আপন তুই কি কখনো ইবলিস দেখছস। -না তুই দেখছস নাকি?
-আরে দেখবনা কেন? -কোথায়?? -আরে তুই কি ইবলিস এর থেকে কম নাকি তুই যেই কাজ গুলা করস মনে হয় না ইবলিস ও সেইগুলা পারবে বলে।।
-কি আমি আবার কি করলাম।। -তুই নাকি সেইদিন ক্লাসে বোম ফাটাইছস। -আরে না ওইটা ফটকা ছিল।।
-এরপর তুই নাকি রিপা আর সোহেল এর প্রেম চলতাছে এইটা সারা কলেজে ফাটাইয়া দিছস।
তাও আবার স্যারকে ও বলছিস -এতে আমার দুষ কি সোহেল দেখলাম রিপার দিকে হা করে তাকাইয়া আছে জিজ্ঞাস করলাম খবর কি সে বলল আমাদের চলছে এমন সময় স্যার আমাকে দাঁড় করালেন এবং বল্লেন যে কথা বলছ কেন?
আমি তো আবার সত্য কথা বলি তাই বল্লাম স্যার চলছে,স্যার বল্লেন কি চলছে আমি বল্লাম স্যার রিপা আর সোহেলের চলছে।
এতে আমার দুষ কি? -উফ আস্ত একটা পেইন তুই?অলটাইম বাঁশ দিতে থাকস তাই না।
-আমি অন্যরে দেই আর তুই আমারে। -তুই কি ঠিক হবি না।। -ঠিক হয়ে যাব একবার বল ভালবাসি।
-লাত্তি দিয়া রিকসা থেকে ফেলে দিবো সয়তান -তাহলে বাদ দে, তরে প্রপোজ করে আমি বহুত বড় ভূল করছি।এর চেয়ে আমার পপিই ভাল ছিল।
-পপিটা কে? -ভলবো না? -তরে বলতেই হবে?আজ তো ছাড়ুম না? -ধরতে পারলে তো ছাড়বি।। .
রিকসা থেকে নেমেই দিলাম দৌড় আমারে আর পায় কে?সন্ধ্যায় বাসা আসা মাত্রই আম্মুর হুংকার.. -রিয়াদ পপি কে?
-(খাইছেরে এই ডাইনি তো আমারে বাঁশ দিয়া আম্মুরে বলে দিছে)আম্মু পপিটা কে? -ফাজলামি করছ বল নইলে কিন্তু খবর খারাপ হয়ে যাবে।
-তোমারে পপির কথা কে বলছে।। -বলুক যে কেউ!পপিকে কে যদি তর পছন্দ তাহলে ওর বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠাব তবে এর আগে লেখা পড়া ঠিক করে কর।
-আচ্ছা আম্মু। আম্মু চলে গেলেন যাক ভাবা বাঁচলাম।দিলাম ডাইনিরে ফোন? -ওই ডাইনি তর জন্য গুড নিউজ আছে? -কি? -পপিরেই আমি বিয়ে করতেছি।
।আম্মু কে বলে তুই ভালই করছিস।পপির সাথে বিয়েতে আম্মু রাজী।
-কি আন্টি রাজী হয়ে গেছে। -হ্যাঁ…একমাত্র ছেলে বলে কথা।
বাই রাখি পপিরে ফোন দিতে হবে। বলেই ফোন কেটে দিলাম এবার বোঝবে মজা কাকে বলে।।
আমাকে লাত্তি মারবে কত্ত বড় সাহস। সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি আমার দিকে চোখ বড় বড় করে একটা মেয়ে চেয়ে আছে।
আরে এ তো দেখি কাজল -তুর এইখানে কি? -আমার হবু শ্বশুর বাড়ি আর আমি আসব না।
-কোথায় তর শ্বশুর বাড়ি,আমি তরে বিয়া করুম না ৷ আমি পপিকে ভালবাসি।
-পপি কে?ওরে যদি ভালবাসছিলি তাহলে আমারে প্রপোজ করছিলি ক্যান।
-তুই তো আর আমারে ভালবাসস নাই। -কে বলছে বাসি নাই।
-আচ্ছা এসব বলে এখন আর লাভ হবে না।
আমি পপিকেই বিয়ে করব।
-সত্যি পপিকে তুই ভালবাসিস(এই কথাট মেয়েটা কেমন যেন নরম ভাবে বলল যেন ও কাঁদছে) -কি রে হয়েছে?
-কিছুনা এই কথা বলেই কাজল রুম হতে বের হয়ে যাচ্ছিল এমন সময় হাত ধরে ফেললাম।
-কি হল কই যাস… -জানিনা… -ভালবাসিস।।
-না -সত্যি.. -হুম… -তাহলে যা,,পপিরেই বিয়া করুম।
-মেরে ফেলব কিন্তু।
-তাহলে বল ভালবাসি।
-আচ্ছা পাগল তো তুই অকে বলছি ভালবাসি,ভালবাসি,ভালবাসি এবার খুশি।। -হুম খুশি।।
-আচ্ছা পপিটা কে বল তো।
-কেউ নেই।এমনিই মজা করে বলছি।।
-কি দাড়াঁ আজ তরে মেরে ফেলব…জানিস এই পপিটা কে সেইটা ভাবতে ভাবতে সারাটা রাত ঘুমাই নাই।
-হিহিহি… -হাসবি না একদম হাসবি না।
-তাহলে জড়িয়ে ধরি। বলেই জড়িয়ে ধরলাম….আহা এই বার যাইবা কই…. . চলুক এইভাবে ভালবাসার মিষ্টি মিষ্টি রাগ,অভিমান,জগড়া আর ভালবাসা গুলো।।স্বাস্থ্য সম্পদ এবং সুখ। পেজ এর লাইক কমেন্ট দিয়ে সঙ্গে থাকুন।