দেশে ধর্ষণ যেন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে পত্রিকার পাতা খুললেই পাওয়া যায় ধর্ষণের খবর।ধর্ষণ একটি সামাজিক ব্যাধি।এটা যেমন আমাদের সমাজকে ধংস করছে তেমনি অবহেলিত হচ্ছে গোটা জাতি। তাই আমাদের বর্তামান পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাড়াতে হবে। বর্তমান সরকার ধর্ষণ আইন পাশ করলেও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। কারন আমরা এখনো সচেতন হইনি।সরকারের একার পক্ষে ধর্ষণ বন্ধ করা সম্ভব নয়। জাতী, সমাজ, সর্বপরি দেশকে এই কলঙ্কের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে।
ধর্ষণ বন্ধের জরুরি সমাধান
০১। নারীদেরকে সচেতন হতে হবে।
০২। আইনের সুষ্ঠ প্রয়োগ করতে হবে।
০৩। নারী পুরুষ উভয়কে ধর্মানুরাগি হতে হবে।
০৪। অবৈধ প্রেম বন্ধ করতে হবে।
০৫। পারিবারে ধর্মের অনুশাষন গড়ে তুলতে হবে।
০৬। নারীরাও “মানুষ”। তাদেরও আছে মন, আত্মসম্মান, আছে সমাজে ভালোভাবে চালাফেরার অধিকার। -এই দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হবে।
০৭। অসম্মানের ভয়ে ধর্ষণের ঘটনা লুকিয়ে রাখা যাবে না।
০৮। নারীদেরকে আত্মারক্ষার কৌশল শিখতে হবে।
০৯। রাস্তায় হাটার সময় নির্জন, পরিত্যাক্ত এলাকা এড়িয়ে চলুন।
১০। আত্মবিশ্বাসী ও সাহসী মনোভাব রাখুন।
১১। বিয়ের উপযুক্ত বয়সে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া।
হযরত আবু সাইদ ইবনে জায়েদ (রাঃ) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে যে ব্যক্তি নিহত হয়েছে সে শহিদ। জীবন রক্ষা করতি গিয়ে যে ব্যক্তি নিহত হয়েছে সে শহিদ। দ্বীন রক্ষা করতে গিয়ে যে ব্যক্তি নিহত হয়েছে সে শহিত। আর সম্ভ্রম রক্ষা করতে গিয়ে যে ব্যক্তি নিহত হয়েছে সে শহিদ। (আবু দাউদ, তিরমিযি)
ধর্ষণ সৃষ্টি হয় অবৈধ কামভাব তাড়িত বিষয় থেকে। এটি মূলত তারাই করতে পারে যাদের অন্তরে আল্লাহর ভয় নেই। ধর্ষণ, ব্যভিচারসহ সব প্রকারের অপকর্ম থেকে বাঁচার সহজ উপায় হলো অন্তরে আল্লাহর ভয়কে ধারণ করা।